শিশুর যত্ন
গরমে শিশুর যত্ন কি বলছে বিশেষজ্ঞরা

গরমে শিশুর যত্ন কিভাবে নেবেন? এখন অতিরিক্ত গরম পরছে। বড়রা এবং শিশুরা সমান ভাবে অস্থির হয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে এটা শিশুদের জন্য খুবই কষ্টকর। উক্ত পরিস্থিতিতে বাবা মায়েরা শিশুর খাবার, বাসস্থান সার্বিক বিষয় নিয়ে চিন্তিত হয়ে আছেন। এই সময় বাবা মায়ের দরকার শিশুদের প্রতি একটু বেশি যত্নশীল হওয়া। এই গরমে বাচ্চারা অনেক অস্থিরতা বোধ করে ঘেমে যায় আর ঘাম থেকে ঘামাচি উঠে, র্যাশ উঠে শরিরের মধ্যে। এই জন্য উচিত সবসময় বাচ্চাদের শুকনা রাখা এবং প্রতিদিন গোসল করানো।
শিশুর গোসল
গোসল করানোর পর যেন লোশন বা তেল না দেওয়া হয়। প্রয়োজনে ট্যাল্কম পাউডার ব্যাবহার করবেন। গোসল করানোর সময় স্বাভাবিক তাপমাত্রার পানি দিয়ে গোসল করাবেন। ঠান্ডা বা গরম পানি ব্যাবহার করবেন না। শিশুর শরিরে যে সকল খাজ গলায় হাতে এইগুলা ভালো করে পরিষ্কার করে দিতে হবে। তা না হলে বাচ্চাদের ফাঙ্গাল ইনফেকশন হতে পারে, ফুস্কুড়ি উঠতে পারে। আমি যেটা বলবো এই সময় বাচ্চাদের ন্যাপি বা ডায়াপার যেন না পরানো হয়। ডায়াপারের বদলে পাতলা কাপড় ব্যাবহার করলেই ভালো। আর যদি কোন কারনে পরাতেই হয় তা যেন বেশিক্ষন না থাকে। একটু পর পর চেঞ্জ করুন।শিশুর খাবার
গরমে শিশুর খাবার খুবই গুরুত্বপূর্ণ।- সবসময় নরম খাবার দেবেন। একটু শুকনা খাবার দিবেন।
- যে সকল খাবার সহজে হজম হয় সে সকল খাবার বেশি বেশি দিবেন।
- আগের দিনের খাবার ভুলেও দিবেন না।
- অবশ্যই ঘরের তৈরি খাবার দিবেন। বাজারের তৈরি খাবার কখনো দিবেন না।
- বাচ্চাদের জুস ঘরে তৈরি করে দিতে পারেন। বাইরের জুস খাওয়াবেন না। এতে পেট খারাপ হতে পারে।
- ৬ মাস এর কম বয়সি বাচ্চাদের অবশ্যই ঘন ঘন বুকের দুধ খাওয়াবেন। গরমে শিশুদের পানি শুন্যতা হয়। এই পানি শুন্যতা যেন না হয় তার জন্য ঘন ঘন বুকের দুধ খাওয়ানো উচিত।
শিশুর বাসস্থান
বাসায় যদি এসি না থাকে তাহলে দরজা জানালা খুলে রাখুন। আলো বাতাস যেন ভালোভাবে আসা যাওয়া করতে পারে। এসিতে রাখার ক্ষেত্রে এসির টেম্পারেচার একটু বাড়িয়ে দিবেন যেমন ২৪/২৫ ডিগ্রি এমন তাপমাত্রা। আর এসি বন্ধ করে সাথে সাথে বাচ্চাকে বাইরে আনবেন না। এতে বাচ্চা অসুস্থ হয়ে যাবে। এসি বন্ধ করার পর বাচ্চা রুমে থাকবে। রুমের তাপমাত্রা স্বাভাবিক হলে তারপর বাইরে নিবেন।কি কাপড় পরাবেন
শুষ্ক, পাতলা সুতি কাপড় পরাবেন। সিল্ক বা পলিস্টার টাইপ কিছু পরাবেন না। এইগুলা পরালে শরিরে র্যাশ হতে পারে।ডা: সাঈদা আনোয়ার শিশু ও বাতজ্বর বিশেষজ্ঞ। অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান শিশু বিভাগ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাস্পাতাল।আমাদের পরবর্তী টিপস পেতে যুক্ত থাকুন আমাদের ফেসবুক পেইজে Mamoniya মামোনিয়া আরো দেখুন > বাচ্চা খেতে চায় না? কি বলছেন বিশেষজ্ঞরা